বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: তিন ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক। কোথাও কোথাও জমেছে হাঁটু সমান পানি। ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর মতিঝিল, মগবাজার, ধানমণ্ডি, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার মহল্লার ভেতরের সড়ক ছাড়াও প্রধান প্রধান সড়কেও হাঁটু পানি জমে যায়। অফিসগামী মানুষদের এ সময় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বৃষ্টিতে একদিকে যেমন সিএনজি, রিকশা মেলে না। তেমনি মিললেও ভাড়া গুনতে হয় দ্বিগুণ। তার ওপর বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা। সব মিলিয়ে কর্মজীবী মানুষরা নাকাল হয়ে পড়েন।
ট্রাফিকের উত্তরা বিভাগের বিমানবন্দর জোনের কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গুলশানের দিকে যাতায়াতের রাস্তা যানজটে স্থবির রয়েছে। কুড়িল বাস স্ট্যান্ড ও রেডিসন হোটেলের আশপাশের রাস্তায় বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব বিমানবন্দর সড়কেও পড়ছে।
ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বনানী থেকে বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। কুড়িল ফ্লাইওভারের বনানী অংশের নিচে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি ফ্লাইওভার থেকে নামলেই পানিতে আটকে পড়ছে। আর এ কারণে বনানী থেকে বিমানবন্দর রাস্তার যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। এই যানজটের প্রভাব পুরো গুলশান এলাকায় পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা টেকনাফের কাছাকাছি চলে এসেছে। তাই বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বাড়ছে। এটা দেশের আকাশে ছড়িয়ে পড়লে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়বে।
এদিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের শঙ্কায় নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।